কারমিক কোয়ালার পথে!! (উবুন্টু ৯.১০)

কারমিক কোয়ালা - উবুন্টুর নতুন ডিস্ট্রো - উবুন্টু ৯.১০ নামে পরিচিত!!


৯.০৪ থেকেই আমি উবুন্টু ব্যবহারকারী এবং শুধু ব্যবহারকারী বললে ভুল হবে ভক্ত বলা উচিত। ওপেন সোর্স ভালবাসি প্রথম থেকেই (এখানে প্রথম বলতে আমার জানার পর থেকেই বলা যায়) …


যদিও ওপেন সোর্সের উইন্ডোজ ভিত্তিক সফটওয়্যার গুলো অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছি, কিন্তু অপেন সোর্সের কোনো অপারেটিং সিস্টেম-এ কখনোই নেড়ে দেখা হয়নি উবুন্টু ৯.০৪ ব্যবহারের পুর্বে - তবে এর পিছনে একটা বড় কারন ছিল মানুষের কম ব্যবহার; আমি অনেকের কাছ থেকেই দখতে চেয়েছি, পাইনি কোথাও! সব শেষে নিজের পিসিতে নিজেই ইন্সটল করে প্রথম লিনাক্সের দেখা পেলাম।


আর, আরেকটি ব্যপার হচ্ছে, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে ১০০% ভ্রান্ত ধারনা -


নিজে ব্যবহারের পূর্বে আমার যা ধারনা ছিল লিনাক্সের সম্বন্ধে -
(ধারনা জানানোর পূর্বে ধারনাকারীদের কথাটাও জানা উচিত – সাধারনত লিনাক্স সাধারন মানুষ তথা আমাদের আশে পাশের মানুষ খুব কমই ব্যবহার করে, তাই লিনাক্সের সম্বন্ধে যেই ধারনা, সেটা এসেছে বাংলাদেশের নামকরা সব ইঞ্জিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দের কাছ থেকেই)


লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হলে প্রোগ্রামিং জানতে হয় কিছুটা হলেও
লিনাক্স সাধারনত ডাটা ইন্টারপ্রিটিং এর মতো কাজ যারা করে এবং যারা প্রোগ্রামিং করে তাদের জন্যই দরকার


কথা গুলো ভাবলে এখন আমার পেট ফেটে হাসি আসে, আর বাস্তব এই যে এই আমিই এমনকি এ বছরের(০৯) শুরুর দিকেও এমনটাই ভাবতাম।


যাই হোক, কাজের কথায় আসি, উবুন্টু ৯.০৪ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সন্তুষ্টই ছিলাম, ৯.১০ বের হওয়ার পর অপেক্ষায় ছিলাম নতুন সব ফিচারের, নতুন যা ফিচার পেলাম, ভালো লেগেছে, সর্বোপরি আরো সহজে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে, গ্রাফিকাল ইন্টারফেস আরো আকর্ষনীয় করা হয়েছে এবং স্পীড আগের মতোই অনেক!!!!






যেহেতু এবার শীপ ইট-এর সিডি সরাসরি পাইনি, তাই ডাউনলোড করেই ব্যবহারের চিন্তা করলাম, সেখানেই বাধলো প্রথম বিপত্তি।
আমি উবুন্টু ৯.০৪ থেকে ডাউনলোড করছিলাম, টরেন্টে স্পীড কম পাচ্ছিলাম বলে সরাসরি ডাউনলোডের চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু লোডশেডিং আমার ডাউনলোডেড অংশকে শেড করার জন্য যথেষ্ট ছিলো।


এবার ভাবলাম সরাসরি মোবাইলেই নামিয়ে ফেলি, যেহেতু আমার মেমরিকার্ড ২ গিগা ৭০০ মেগাবাইটের iso ফাইল নামানোই সম্ভব।
যেই ভাবা, সেই কাজ, কিন্তু অপেরা মিনি ৫ বিটা দিয়ে চেষ্টা করতে দিয়ে দেখলাম এখনো এটাতে সরাসরি ডাউনলোড এর সুবিধা যোগ করা হয়নি, অপেরা রিডিরেক্ট করে দিলো মোবাইলের ইন বিল্ড ব্রাউজারে, আর মোবাইল নট সাপোর্টেড ফাইল হিসেবে আর ডাউনলোড ও করলো না!!!!


এবার চেষ্টা করলাম অপেরা মোবাইল ১০ বিটা দিয়ে, সফল ভাবে ডাউনলোড শুরু হলো, ২০০মেগা নামার পর, হঠাৎ ডিসি, টেনশিত না হয়ে রিজিউম করতে গেলাম, দেখি সেই অপশান নাই, পুরা চেষ্টাই পানিতে!!!!


এবার পরিচিত জনের ভিতর একজনকে সিডি কপি করে আমাকে দিতে বললাম – কিন্তু বললেই তো আর হয়ে যায় না, দেখাও তো হতে হবে।




তাই আবার নতুন উদ্যমে শুরু করলাম.. মনে পড়লো ইউসি ওয়েব ব্রাউজারের (মোবাইলের ব্রাউজার) কথা, যেটা দিয়ে পস এবং রিজিউম করা যায়। ব্যাস, নামিয়ে ফেললাম ইউসি ওয়েব ব্রাউজার, আর ডাউনলোড শুরু করলাম উবুন্টু ৯.১০, রাতে ৩টার দিকে শুরু করে দিলাম, পরদিন কলেজ শেষে বাসায় ফিরে দেখি ডাউনলোড শেষ (কতটা সময় লাগলো, ঠিক বুঝতে পারিনি!!)


যাই হোক, এর মাঝে উবুন্টুর সিডিটা হাতে পেয়েছি, কিন্তু যেহেতু নিজেরই iso ফাইল ডাউনলোড করা শেষ, সেজন্য আর সেই সিডি ব্যবহার করে বুট না করে নিজেই সিডি তৈরি করে নিলাম।


সিডি তৈরি করতে গিয়ে যেই ঝামেলায় পড়লামঃ


উবুন্টুর ফোরামে দেখলাম বলা আছে কম স্পীডে রাইট করতে, আমিও তাই ৮x এ রাইট করলাম, প্রথম সিডি দিয়ে ইন্সটল ইনসাইড উইন্ডোস ঠিক শেষ পর্যায়ে গিয়ে এরর দেখালো, তারপর রাইট করলাম Max স্পীডে, একই রেজাল্ট।


এর পরও ধৈর্য্য হারায় নি, বাসায় ব্ল্যাঙ্ক সিডি শেষ – নতুন করে আরো কিছু সিডি এনে ১৬x স্পীডে রাইট করলাম।
এবার সফল ভাবে ইন্সটল ইনসাইড উইন্ডোস করতে পারলাম।


এখন অভ্র ৯.১০ এর জন্য নামিয়ে কম্পিজ দিয়ে আরো ইফেক্ট বাড়িয়ে ব্যবহার করছি।
ভালই লাগছে কারমিক কোয়ালা।


কি কি পরিবর্তন দেখলাম সেটা পরে বলবো, আর নেক্সট-এ জুবুন্টু ডাউনলোড করবো, কম কনফিগারের পিসি গুলোকে বাতিল না বলে একটাবার জুবুন্টু লাগিয়ে দেখতে চাই, দেখা যাক কি হয়!!!!!

0 মন্তব্য:

Copyright © 2009 - সার্জা'র ব্লগ - is proudly powered by Blogger
Smashing Magazine - Design Disease - Blog and Web - Dilectio Blogger Template