শ্রদ্ধা জানাই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মার প্রতি -
ধিক্কার জানাই সেই সকল বাংলাভাষী ব্যক্তিদের যাদের নীল নকশার ফসল আজকের এই "শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস"
~~
ঘৃণা লাগে নিজেকে, যখন দেখি আজো সেই সব মানুষগুলো বুক ফুলিয়ে লাল সবুজ পতাকাটা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর আজকের প্রজন্মের আমি শুধু নির্বাক চোখে তাকিয়েই রই!!!!!!!






জুবুন্টু ব্যবহারের পর...... পুরানো কম কনফিগারেশানের পিসি গুলোকে বাতিল বলে দেয়ার পূর্বে.... :-)
প্রকাশ করেছেন N.H.Sarja বিভাগ প্রযুক্তি
কম কনফিগারেশানের পিসির জন্য সত্যিই চমৎকার
গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস বেশ আকর্শনীয়
সোয়াপ হিসেবে ২৫৬মেগাবাইট জায়গা পাওয়ায় পিসি আগের থেকে বেশ দ্রুত চলছিল (সরাসরি বুট করলে যদি সোয়াপে আরো জাগয়া দেয়া যেতো তবে মনে হয় আরো দ্রুত চলতো)
অপেন অফিসের বদলে ABIword পেলাম, আগে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ছিলনা, কিন্তু খুব একটা পার্থক্য লাগলো না।
ব্রাউজার হিসেবে ফায়ারফক্স ৩.৫.৩
চ্যাটিং এর জন্য পিজিন (যদিও উবুন্টু ৯.১০ তে পিজিন বাদ দেয়া হয়েছে)
উবুন্টুতে যেখানে উপরের ট্যাবে Application Places System এর বদলে ২টি রয়েছে ( Application এবং System কে এক করে Places কে আলাদা রাখা হয়েছে।
ফোনেটিক এ বাংলা লেখার জন্য অভ্র ব্যবহার করলাম (যেই স্কীম উবুন্টু ৯.১০ এর জন্য রয়েছে, সেটিই এই ক্ষেত্রে কাজ করে)
প্রভাত এ লেখার জন্য ইনবিল্ড ভাবেই দেয়া আছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করলাম মোবাইলকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করে - স্পীড একই রকম পেলাম (যেমনটা ৪গিগা র্যামের পিসি ব্যবহারে পাই, তবে আগে এক্সপিতে এমনটা পেতাম না)
কারমিক কোয়ালা - উবুন্টুর নতুন ডিস্ট্রো - উবুন্টু ৯.১০ নামে পরিচিত!!
৯.০৪ থেকেই আমি উবুন্টু ব্যবহারকারী এবং শুধু ব্যবহারকারী বললে ভুল হবে ভক্ত বলা উচিত। ওপেন সোর্স ভালবাসি প্রথম থেকেই (এখানে প্রথম বলতে আমার জানার পর থেকেই বলা যায়) …
যদিও ওপেন সোর্সের উইন্ডোজ ভিত্তিক সফটওয়্যার গুলো অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছি, কিন্তু অপেন সোর্সের কোনো অপারেটিং সিস্টেম-এ কখনোই নেড়ে দেখা হয়নি উবুন্টু ৯.০৪ ব্যবহারের পুর্বে - তবে এর পিছনে একটা বড় কারন ছিল মানুষের কম ব্যবহার; আমি অনেকের কাছ থেকেই দখতে চেয়েছি, পাইনি কোথাও! সব শেষে নিজের পিসিতে নিজেই ইন্সটল করে প্রথম লিনাক্সের দেখা পেলাম।
আর, আরেকটি ব্যপার হচ্ছে, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে ১০০% ভ্রান্ত ধারনা -
নিজে ব্যবহারের পূর্বে আমার যা ধারনা ছিল লিনাক্সের সম্বন্ধে -
(ধারনা জানানোর পূর্বে ধারনাকারীদের কথাটাও জানা উচিত – সাধারনত লিনাক্স সাধারন মানুষ তথা আমাদের আশে পাশের মানুষ খুব কমই ব্যবহার করে, তাই লিনাক্সের সম্বন্ধে যেই ধারনা, সেটা এসেছে বাংলাদেশের নামকরা সব ইঞ্জিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দের কাছ থেকেই)
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হলে প্রোগ্রামিং জানতে হয় কিছুটা হলেও
লিনাক্স সাধারনত ডাটা ইন্টারপ্রিটিং এর মতো কাজ যারা করে এবং যারা প্রোগ্রামিং করে তাদের জন্যই দরকার
কথা গুলো ভাবলে এখন আমার পেট ফেটে হাসি আসে, আর বাস্তব এই যে এই আমিই এমনকি এ বছরের(০৯) শুরুর দিকেও এমনটাই ভাবতাম।
যাই হোক, কাজের কথায় আসি, উবুন্টু ৯.০৪ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সন্তুষ্টই ছিলাম, ৯.১০ বের হওয়ার পর অপেক্ষায় ছিলাম নতুন সব ফিচারের, নতুন যা ফিচার পেলাম, ভালো লেগেছে, সর্বোপরি আরো সহজে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে, গ্রাফিকাল ইন্টারফেস আরো আকর্ষনীয় করা হয়েছে এবং স্পীড আগের মতোই অনেক!!!!
যেহেতু এবার শীপ ইট-এর সিডি সরাসরি পাইনি, তাই ডাউনলোড করেই ব্যবহারের চিন্তা করলাম, সেখানেই বাধলো প্রথম বিপত্তি।
আমি উবুন্টু ৯.০৪ থেকে ডাউনলোড করছিলাম, টরেন্টে স্পীড কম পাচ্ছিলাম বলে সরাসরি ডাউনলোডের চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু লোডশেডিং আমার ডাউনলোডেড অংশকে শেড করার জন্য যথেষ্ট ছিলো।
এবার ভাবলাম সরাসরি মোবাইলেই নামিয়ে ফেলি, যেহেতু আমার মেমরিকার্ড ২ গিগা ৭০০ মেগাবাইটের iso ফাইল নামানোই সম্ভব।
যেই ভাবা, সেই কাজ, কিন্তু অপেরা মিনি ৫ বিটা দিয়ে চেষ্টা করতে দিয়ে দেখলাম এখনো এটাতে সরাসরি ডাউনলোড এর সুবিধা যোগ করা হয়নি, অপেরা রিডিরেক্ট করে দিলো মোবাইলের ইন বিল্ড ব্রাউজারে, আর মোবাইল নট সাপোর্টেড ফাইল হিসেবে আর ডাউনলোড ও করলো না!!!!
এবার চেষ্টা করলাম অপেরা মোবাইল ১০ বিটা দিয়ে, সফল ভাবে ডাউনলোড শুরু হলো, ২০০মেগা নামার পর, হঠাৎ ডিসি, টেনশিত না হয়ে রিজিউম করতে গেলাম, দেখি সেই অপশান নাই, পুরা চেষ্টাই পানিতে!!!!
এবার পরিচিত জনের ভিতর একজনকে সিডি কপি করে আমাকে দিতে বললাম – কিন্তু বললেই তো আর হয়ে যায় না, দেখাও তো হতে হবে।
তাই আবার নতুন উদ্যমে শুরু করলাম.. মনে পড়লো ইউসি ওয়েব ব্রাউজারের (মোবাইলের ব্রাউজার) কথা, যেটা দিয়ে পস এবং রিজিউম করা যায়। ব্যাস, নামিয়ে ফেললাম ইউসি ওয়েব ব্রাউজার, আর ডাউনলোড শুরু করলাম উবুন্টু ৯.১০, রাতে ৩টার দিকে শুরু করে দিলাম, পরদিন কলেজ শেষে বাসায় ফিরে দেখি ডাউনলোড শেষ (কতটা সময় লাগলো, ঠিক বুঝতে পারিনি!!)
যাই হোক, এর মাঝে উবুন্টুর সিডিটা হাতে পেয়েছি, কিন্তু যেহেতু নিজেরই iso ফাইল ডাউনলোড করা শেষ, সেজন্য আর সেই সিডি ব্যবহার করে বুট না করে নিজেই সিডি তৈরি করে নিলাম।
সিডি তৈরি করতে গিয়ে যেই ঝামেলায় পড়লামঃ
উবুন্টুর ফোরামে দেখলাম বলা আছে কম স্পীডে রাইট করতে, আমিও তাই ৮x এ রাইট করলাম, প্রথম সিডি দিয়ে ইন্সটল ইনসাইড উইন্ডোস ঠিক শেষ পর্যায়ে গিয়ে এরর দেখালো, তারপর রাইট করলাম Max স্পীডে, একই রেজাল্ট।
এর পরও ধৈর্য্য হারায় নি, বাসায় ব্ল্যাঙ্ক সিডি শেষ – নতুন করে আরো কিছু সিডি এনে ১৬x স্পীডে রাইট করলাম।
এবার সফল ভাবে ইন্সটল ইনসাইড উইন্ডোস করতে পারলাম।
এখন অভ্র ৯.১০ এর জন্য নামিয়ে কম্পিজ দিয়ে আরো ইফেক্ট বাড়িয়ে ব্যবহার করছি।
ভালই লাগছে কারমিক কোয়ালা।
কি কি পরিবর্তন দেখলাম সেটা পরে বলবো, আর নেক্সট-এ জুবুন্টু ডাউনলোড করবো, কম কনফিগারের পিসি গুলোকে বাতিল না বলে একটাবার জুবুন্টু লাগিয়ে দেখতে চাই, দেখা যাক কি হয়!!!!!

আগেই বলেছি, ব্যক্তিগত ব্লগের ইচ্ছেটা বেশ পুরোনোই, ব্লগস্পট এবং ওয়ার্ডপ্রেসে আগে ইংরেজি ব্লগ থাকলেও কোন বাংলা ব্লগ ছিলো না, আর, আরো বড় ব্যপার ছিলো, সেই ব্লগ গুলোতে নিয়মিত ছিলাম না।
অবশেষে নিজের একটি বাংলা ব্লগ দাঁড় করিয়ে ফেললাম, কিন্তু প্রথমে ভাবলাম কোন সাইটে করবো- ব্লগস্পটে নাকি ওয়ার্ড প্রেসে??
প্রথমে ভাবলাম, ওয়ার্ড প্রেসে! কিন্তু ঘাটতে গিয়ে দেখলাম সেখানে বাইরের কনো থীম বা টেমপ্লেট ব্যবহার করা সম্ভব না প্রিমিয়ার একাউন্ট ছাড়া। কিন্তু এই সুবিধা রয়েছে ব্লগস্পটে, সেজন্য ব্লগস্পটই বেছে নিলাম!!
গাঢ় ধরনের একটা টেমপ্লেট পছন্দ হয়ে গেলো, ব্যস, সেট করে দিলাম!!
আর, আমার কাছে ব্লগস্পট কেই বেশি ব্যবহারে সহজ লেগেছে!
:-)
মোবাইল থেকে আমার ব্লগে এটাই আমার প্রথম পোস্ট!!
দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল, আকাশ, আকাশে পাখির কোলাহল সব মিলিয়ে আর দশটি দিনের বিকেলের সাথে এ বিকেলের কোনই পার্থক্য নেই কিন্তু তারপরও আলাদা এক বিকেল ।
রোডে গাড়ির সংখ্যা নিতান্তই কম, মানুষের সংখ্যা ও যে তেমন বেশি তাও নয়।
এমন এক বিকেল, যে বিকেলে পথঘাট-দোকানপাট থেকে শুরু করে প্রকৃতি এমন কি মানব মন সব হয়ে ওঠে লাল-সবুজময়।
১৬ই ডিসেম্বরের কথা বলছি,২০০৩এর ১৬ই ডিসেম্বর। রিকশাতে বসে লাল-সবুজময় বাংলাদেশের কথা ভাবছিলাম--- পুরো ঢাকা যেন সেজে উঠেছে লাল-সবুজে …... ২০০৩ সালের লাল-সবুজের বাংলাদেশ সেজেছে রঙ দিয়ে আর ৭১-এ সেজেছিল রক্ত দিয়ে... সবুজ প্রকৃতির মাঝে বাংলার দামাল সন্তানের রক্ত দিয়ে।
ভাবতে ভাবতেই রিকশা পৌছে গেল গন্তব্যে, রিকশা ভাড়া চুকিয়েই সামনে দেখি পরিচিত কিছু ছোট ভাই। এগিয়ে যেতেই হাতে ধরিয়ে দিল কাগজের একটি লাল-সবুজ পতাকা। ৭১এর ভাবনা থেকে চলে আসলাম '০৩-এ, –
-কিরে পতাকা পেলি কোথায়?
-কোথায় আবার, এলাকার সবাই মিলে একটা মিছিল করলাম
-ও , ওখান থেকেই নাকি...............
কথার মাঝে একজন প্রশ্ন করল, “রিকশা ভাড়া দেননি?”
পিছনে ফিরে দেখি রিকশাওয়ালা আমায় ডাকছে, কাছে যাওয়ার পর ডাকার কারন জিজ্ঞেস করলাম.... কোনো উত্তর নেই... কি ব্যাপার... দ্বিতীয় বার জিজ্ঞাসের পূর্বেই দেখি তার চোখে পানি...
ভেজা কণ্ঠে জানতে চাইলেন তাকে একটা পতাকা দেয়া যাবে নাকি। বলা মাত্রই আমি নিজের হাতের পতাকাটা উনাকে দিলাম। কাঁপা হাতে কোন মতে পতাকাটা ধরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন....
অবাক বিস্ময় নিয়ে নীরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। কান্না থামিয়ে তিনি বললেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
জাতির বীর সন্তানের দেশের প্রতি হৃদয় নিঙরানো ভালবাসা দেখে নীরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করা হল না।
জাতির বীর সন্তানের কিছু কথা শোনার সৌভাগ্য তখন আমার হয়েছিল--
“ তোমরা এ পতাকার মর্ম বোঝ না,
যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে আমরা এ পতাকা এনেছি।
যদি বুঝতে, তবে
এ দেশের মাটিতে রাজাকার গাড়িতে পতাকা নিয়ে ঘুরতে পারতো না।
যদি বুঝতে,তবে
রক্ত দিয়ে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি,আজ তাদের সমর্থনে মুখে তাদের পতাকা আকতে না।
এসব দেখে খুব কষ্ট পাই, যখন খুব বেশি কষ্ট হয় তখন যুদ্ধের সময়ে কাছে রাখা পতাকাটা মুখে চেপে ধরে কাঁদি।
বুঝলে না তোমরা রক্তে আঁকা এই লাল-সবুজের মূল্য।”'
তাকে সান্তনা দেয়ার ভাষা আমার জানা ছিল না, লাল-সবুজের মর্যাদা অনুধাবনের শক্তি যদি আমার থাকতো তবে .....
মোবাইলে বাংলা লেখার এবং পড়ার ব্যবস্থা(নকিয়া এন, ই সিরিজ এবং তৃতীয় ও পঞ্চম প্রজন্মের সিমবিয়ান ফোন)
প্রকাশ করেছেন N.H.Sarja বিভাগ প্রযুক্তি, মোবাইল কথন
মোবাইলে এখন আমরা বাংলা পড়তে পারি অপেরা মিনির কল্যানে আর নতুন কিছু নকিয়ার জাভা(s40) মোবাইলে আগে থেকেই বাংলা ইউনিকোড থাকার কল্যানে।
আর মোবাইলে বাংলা লেখাটা এখন ও কিছু নকিয়া মোবাইলেই সীমাবদ্ধ, তার সবই আবার জাভা মোবাইল, জনপ্রিয় এন সিরিজ , ই সিরিজ সিমবিয়ান সিরিজে নেই বাংলা দেখার ইউনিকোড আর লেখার ব্যবস্থা তো নেই-ই!
কিন্তু, একটু চেষ্টা করলেই আমরা মোবাইলে বাংলা দেখতে এবং লিখতে পারি (আমি নকিয়ার জনপ্রিয় সিমবিয়ান সিরিজ এর কথা বলছি)।
আগে বাংলা পড়ার সিস্টেমের কথা বলি!!
২ ভাবে এটা করা যেতে পারে,
একটা অপেরা মিনির মাধ্যমে, আরেকটা মোবাইলে বাংলা ইউনিকোড সেট করার মাধ্যমে।
অপেরা মিনিঃ
আপেরা মিনির ব্যবস্থা অনুযায়ী করলে শুধু অপেরা মিনিতেই ব্রাউজ করার সময় বাংলা দেখা যাবে, মোবাইলে কোথাও (বাংলা মেসেজ, কিংবা বাংলা লেখা কোন ওয়ার্ড ফাইল-এ) বাংলা দেখা যাবে না।
তবে সুবিধা এই যে, এর মাধ্যমে যে কোন কম্পানির জাভা মোবাইলে বাংলা দেখা সম্ভব, আর এই ব্যবস্থায় বাংলা দেখলে বাংলা অক্ষর গুলো ভেঙ্গে যায় না, ঠিক মতো দেখা যায়!!
কিভাবে করবেনঃ
১ - প্রথমে অপেরা মিনি download করে নিন। (যদি আপনার মোবাইলে থেকে না থাকে!)
ডাউনলোড লিঙ্ক- মোবাইলের ব্রাউসার থেকে - mini.opera.com
২ - opera mini চালু করে "Enter Address" এ(সবচেয়ে উপরে যেখানে www. লেখা রয়েছে), সেখানে টাইপ করুন about:config
৩ - এখন যে পেজটি আসবে, এর শেষ optionটি তথা
"use bitmap font for complex script" optionটি Yes করুন।
(শুরুর সময় এটি No করা থাকে)
৪ - পেজের নিচে দিয়ে Save করুন।
বাংলা ইউনিকোড সেট করার মাধ্যমেঃ
যদি বাংলা কোন ওয়েব সাইট আপনার মোবাইলের ইন বিল্ড ব্রাউজারে দেখতে যান, তবে কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না উপরের পদ্ধতিতে, অথবা আপনাকে কেউ বাংলায় মেসেজ পাঠালে কিংবা কোন নোট(.txt)-এ অথবা ডকুমেন্ট ফাইলে বাংলা থাকলে সেটা আপনার মোবাইলে কিছু চারকোনা বক্স ছাড়া আর কিছুই নয়!!!
কিন্তু আপনি যদি আপনার মোবাইলে একটি বাংলা ইউনিকোড ইন্সটল করে নেন তবে এই সবই মোবাইলে পড়া সম্ভব (যদিও আ-কার , ইকার, এ-কার ইত্যাদি নিয়ে আর যুক্তাক্ষর নিয়ে ঝামেলা হয় (ব্যস্ত আসবে ব ্যস ্ত) ঝামেলা হয়, এগুলো অক্ষরের মধ্যে অনেকটা ওভারল্যাপ হয়ে যায় – প্রথম কিছু দিন সমস্যা হলেও পরবর্তিতে সমস্যাটা কিছুটা কমে আসবে।
আর একটা ব্যপারও এর সাথে জড়িত, সেটা হচ্ছে - অপেরাতে about:config করে বাংলা দেখার ব্যবস্থা করলে তাতে খরচ অনেক বেড়ে যায় (কেননা বেশি ডাটা ট্রান্সফার হয়), কিন্তু যদি নকিয়ার নিজের ফন্ট টি বদলে কোন বাংলা সাপোর্টেড ইউনিকোড সেট করে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে খবচটা সাধারন ব্যবহারের মতই থাকে।
কোন মোবাইলে করতে পারবেন??
নকিয়ার তৃতীয় প্রজন্মের সিম্বিয়ান এবং তার পরের সেট গুলোতে ব্যবহার করতে পারবেন। (আমি নকিয়া ৩২৫০ এবং এন৮২তে ব্যবহার করেছি)
কি ভাবে করবেন??
প্রথমে আপনার কাছে থাকতে হবে একটি বাংলা ইউনিকোড, আমি সোলেমানলিপি ব্যবহার করেছি।
সোলেমানলিপি ডাউনলোড করে নিন SolaimanLipi_20-04-07.ttf
এখন আপনাকে আপনার মোবাইলের ফন্ট ব্যবহারের কিছু কোড জানতে হবে, এটা জানার জন্য আপনার মোবাইলে কোন ফাইল ব্রাউজার দিয়ে সেগুলো বের করতে হবে, নকিয়ার ইনবিল্ড ব্রাউজার দিয়ে এটা করা যায় না।
আপনি Y!browser নামিয়ে নিতে পারেন ( http://wapain.net/symbian/get.asp?id=1730&cat=Browser_-_Internet_Tools&f=Y_Browser_v0.6.sis&by=n&page=2 ) থেকে, এটা সরাসরি মোবাইলেই নামিয়ে নিন {নামানোর পূর্বে আপনি আপনার মোবাইলের তারিখ ২০০৭ সালে সেট করে দিন}
Y-browser এ ঢুকুন। এখানে (C, D, E, Y, Z) ড্রাইভ দেখতে পাবেন,
Z ড্রাইভে ঢুকুন → resource → Fonts → এখানে আপনি .ttf ৪টি ফন্ট দেখতে পাবেন, তাদের নামগুলো লিখে ফেলুন (কেননা এই নাম দিয়েই আপনার ফন্টটিকে মোবাইলে সেভ করতে হবে)।
এবার আপনি পিসিতে সোলেমানলিপি ফন্টের চারটি কপি করে ঐ চার নামে আলাদা চারটি ফন্ট হিসেবে রিনেম করে নিন।
আপনার মোবাইলটিকে ডাটা কেবল দিয়ে পিসির সাথে যুক্ত করুন অথবা মেমরি কার্ড রেডারের মাধ্যমে মেমোরি কার্ডটি পিসিতে সংযুক্ত করুন।
মেমরি কার্ডে আপনি resource নামের একটি ফোল্ডার পাবেন (না পেলে হিডেন অন করে নিন), সেখানে Fonts নামের একটি নতুন ফোল্ডার তৈরি করুন।
এই ফোল্ডারে আপনার পিসিতে আগে থেকেই তৈরি করা চারটি ফন্ট কপি করে পেস্ট করুন।
ব্যাস – হয়ে গেলো।
এবার মেমোরি কার্ডটি মোবাইলে লাগিয়ে অথবা ডাটা কেবল সরিয়ে অফ করে অন করুন।
এখন আপনার ফন্টটি পরিবর্তন হয়ে গেছে, আপনি এখন আপনার মোবাইলে যে কোন বাংলা টেক্সট এবং বাংলা ইউনিকোড ভিত্তিক ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন।
কিছু টিপস –
* অপেরা মিনিতে ব্যবহারের সময়ে অপেরার ফন্টটি (Large বা Extra large) করে নিতে হবে।
* মোবাইলে ব্যবহারের সময়ে মোবাইলের ফন্টটি লার্জ করে নিলে দেখতে সমস্যা কম হয় (বড় স্ক্রীণের মোবাইলে সোলেমান লিপি ফন্টটি ব্যবহারে সমস্যা কম হয়, কিন্তু যদি ছোট স্ক্রীনের হয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে)। {menu → Tools → settings → General → Personalisation → Display → Font Size → Large}
এভাবে বাংলা ব্যবহারের উপায় পোস্ট আকারে পেয়েছি প্রথম আলো ব্লগের 'আজব ঢাকা'-এর পোস্ট থেকে। {লিংক}
আর, এর উপরে ওমিক্রন ল্যাব ফোরামে ও লেখা আছে। (by kmcboy)
এতো গেলো পড়ার কথা!!!!!!!
এবার আসছি লেখার কথায়!!!!!!!!
একটা সফটওয়ারের মাধ্যমে আপনি মোবাইলে বাংলা টাইপ করতে পারবেন।
এবং সেই লেখা নোট আকারে মোবাইলে সেভ করতে পারবেন,
ডকুমেন্ট আকারে সেভ করতে পারবেন(ই সিরিজে),
বাংলায় যেকোন মোবাইলে ইউনিকোডে মেসেজ পাঠাতে পারবেন,
যে কোন মোবাইল থেকে বাংলায় আসা মেসেজ সহজে দেখতে পারবেন,
এই সফটওয়ারের মাধ্যমে লিখে সেই লেখা ব্লগে পোস্ট আকারে দিতে পারবেন, মন্তব্য করতে পারবেন,
ফেসবুক সহ যেকোন স্থানে দিতে পারবেন, শুধু তাইনা, মিগ৩৩ দিয়ে এই সফটওয়ারের মাধ্যমে ইয়াহু, লাইভ মেসেনজার কিংবা গুগল অথবা মিগ এই বাংলায় চ্যাট করতে পারবেন।
বাংলা ইউনিকোডের মাধ্যমে মেইল পাঠাতে পারবেন!!!!!!!!
তবে এই সুবিধা সহজে ব্যবহার করতে হলে আমি বলবো বাংলা ইউনিকোড সিস্টেমে বাংলা পড়ার ব্যবস্থা আগে ঠিক করে নিতে, তাছাড়া এই ব্যবস্থায় বাংলা লেখাতে খুব সমস্যা হবে ঠিক না, প্রায় অসম্ভব!!!! (আপনি চাইলে উপরে বাংলা দেখার দুই পদ্ধতিই অন করে নিতে পারেন, মোবাইলে আন লিমিটেড অথবা ১,৩ GB লিমিটের নেট ব্যবস্থা অন থাকলে)
এবার আসছি সফটওয়ারের কথায়, হয়তো বা আপনারা অনেকেই এই সফটওয়ার সম্বন্ধে জানেন কিংবা ব্যবহারও করেছেন, আমি নিজেই এর কথা ৩ বছর ধরে জানি, কিন্তু এটা দিয়ে যে সহজ ফোনেটিকের মাধ্যমে বাংলা লেখা যায় সেটা জানতাম না!!!!
যেই ছোট সফটওয়ারটি নামাতে হবে তা হচ্ছে IndiSMS পিসিতে নামিয়ে নিন এখান থেকে
আর সরাসরি মোবাইলে নামাতে চাইলে মোবাইলের ইন বিল্ড ব্রাউজার থেকে www.indisms.in লিংকে যান।
সফটওয়ার ইন্সটলের সময় ভাষা হিসেবে বাংলা নির্বাচন করুন।
সফটওয়ার চালু করার পর রেজিস্টার করুন (রেজিস্টার করতে সফটওয়ারটি নিজেই একটা মেসেজ পাঠাবে,যেটা ডেলিভারও হবে না, কেননা এটি ভারতের জন্য তৈরি কিন্তু আপনার সফটওয়ারটি চালু হয়ে যাবে)
ব্যস, সব ঝামেলা শেষ, এবার বাংলায় ফোনেটিকে লিখুন আর ব্লগে পোস্ট দিন!!!!!
যেভাবে করবেনঃ
indisms চালু করে new message(বার্তা নির্মান)-এ যান,
কারসার To:এর বক্স থেকে নামিয়ে নিচের লাইনে আনুন,
এবার যা লিখতে চান টাইপ করুন, ফোনেটিকের মাধ্যমে সহজেই টাইপ করতে পারবেন, আর যদি সম্পূর্ন কী প্যাড থাকে মোবাইলে কিংবা কোন ব্লু টুথ কী বোর্ড থাকে তবে তো কথাই নেই। (নিচে আমি এটার কী ম্যাপ দিয়েছি)
লেখা শেষে Back সিলেক্ট করুন → তারপর saved to drafts দিন। (এখন সফটওয়ারটি আপনাকে দেখাবে message Saved to drafts)
আপনি সফটওয়ার থেকে বেরিয়ে যান Exit দিয়ে এবং আপনার মোবাইলের মেসেজ এর ড্রাফটস এ যান, আগে বাংলা ইউনিকোড সেট করে থাকলে ওখানে তখন বাংলায় ঐ লেখাটি ড্রাফটস আকারে পাবেন, এখান থেকে কপি করে (মোবাইলে পেন বাটন , সেটা না থাকলে # চেপে কারসর নাড়িয়ে সিলেক্ট করে কপি করুন) আপনি অপেরা মিনির মাধ্যমে বা মোবাইলের ইন বিল্ড ব্রাউসার ব্যবহার করে ব্লগে পোস্ট হিসেবে দিতে পারবেন, কিংবা মন্তব্য করতে পারবেন, কিংবা যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন, আবার সেটা সেভ করে রাখতে চাইলে মোবাইলের নোট এ গিয়ে পেস্ট করে সেভ করুন!!!
টিপস – IndiSMS এ কিছুক্ষন লেখার পর আপনাকে বলতে পারে আপনার মেসেজের অক্ষরের সংখ্যা শেষ, সেক্ষেত্রে আপনি সেই মেসেজটি ড্রাফটস আকারে সেভ করে আবার নতুন বার্তার মাধ্যমে পরের অংশ লিখে ড্রাফটস করুন পরে মোবাইলের মেসেজ অপশানে গিয়ে ড্রাফটস থেকে সব ক্রমিকানুসারে নিয়ে নোট এ সেভ করুন, তারপর অপেরা মিনির মাধ্যমে ব্লগে প্রকাশ করতে পারেন।
কিভাবে একসাথে অপেরা মিনি মিনিমাইজ করে মোবাইলের ড্রাফটস থেকে নিয়ে আবার সরাসরি অপেরাতে গিয়ে পেস্ট করবেন?
(মিনিমাইজের সিসেমটা প্রায় সবারই জানা, তাও বলে রাখছি, কেউ এটা না জানলে যে এই সুবিধা ব্যবহার করতে ঝামেলায় পরবেন)
ধরুন আপনি ব্লগে মন্তব্য করবেন, আপনি সেখানে ঢুকে অপেরা (মিনিমাইজ করুন) মেনু চেপে ধরুন ২ সেকেন্ডের জন্য তারপর standby এ চলে যান, সফটওয়ার এর মাধ্যমে বাংলা লিখুন,সেভ করে অবশ্যই exit করবেন, তারপর মেসেজের ড্রাফটস এ গিয়ে সিলেক্ট করে কপি করুন, আবার মেনু চেপে ধরুন ২ সেকেন্ডের জন্য, তারপর অপেরা মিনিতে ঢুকে ওখানে পেস্ট করে মন্তব্য করুন।
আমি আমার নকিয়া এন৮২ দিয়ে এই ভাবে ব্লগে পোস্ট দিয়ে দেখেছি, মন্তব্য ও করে দেখেছি!!
অ a
আ aa
ই i
ঈ ee
উ u
ঊ oo
ঋ R
এ e
ঐ ai
ও o
ঔ au
ক k
খ kh
গ g
ঘ gh
ঙ Ng
চ ch
ছ chh
জ j
ঝ jh
ঞ Nj
ট T
ঠ Th
ড D
ড় D~
ঢ Dh
ঢ় Dh~
ণ N
ত t
থ th
দ d
ধ dh
ন n
প p
ফ ph
ব b
ভ bh
ম m
য y
য় Y
র r
ল l
শ sh
ষ Sh
স s
হ h
ং M
আ-কার
ই-কার অক্ষরi
ঈ-কার অক্ষরee
উ-কার অক্ষরu
ঊ-কার অক্ষরoo
ঋ-কার অক্ষরR
এ-কার অক্ষরe
ঐ-কার অক্ষরai
ও-কার অক্ষরo
ঔ-কার অক্ষরau
র ফলা অক্ষরr
রেফ rঅক্ষর
য ফলা অক্ষরz
পর পর ২টি অক্ষর লিখলেই যুক্তবর্ণ হয়ে যাবে ( যুক্তবর্ণ = zuktabarN )
আর বর্ণ যুক্তবর্ন না করতে চাইলে দুই অক্ষরের মাঝে a দিতে হবে।
আশা করি এবার মোবাইলেও(নকিয়ার সিমবিয়ান-এ) বাংলার পথচলা সুগম হবে।
সাধারন এক মানুষ,
কিন্তু অসাধারন স্বপ্ন দেখার কিছু অভ্যাস আছে,বিশেষ করে আমার স্বপ্নের দেশ আমার বাংলাদেশকে নিয়ে।
লেখাপড়া বলতে....
SSC– ফরিদপুর জিলা স্কুল (০২)
HSC – নটরডেম কলেজ (০৪)
MBBS – ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ(৫ম বর্ষ) [IM4]
তবে সামনে এখনো বহু বন্ধুর পথ আমার জন্য অপেক্ষমান......
আমিও অপেক্ষায় সে পথের.........
আমার ব্লগ জীবনের শুরু প্রথম আলো ব্লগের হাত ধরে,
২০০৮ এর শেষের দিকে চালু হয় প্রথম আলো ব্লগ- তখম পত্রিকায় সেই ব্লগের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই, ব্লগে ঢুকতে ঢুকতে জানুয়ারী ২০০৯......
তারপর একে একে যোগ দেই সামহোয়্যার ইন ব্লগে এবং আমার ব্লগে...... ব্লগিংটা খুব উপভোগ করতে থাকি।
এর মাঝে নিজের ব্যক্তিগত ইংরেজী ব্লগ তৈরি করি ব্লগস্পটে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে সেই ব্লগ সাইট মেইন্টেইন করি নাই।
আর অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট -এ কম থাকায় কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ও ফেলি।
কিন্তু অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা ছিল নিজের একটি ব্যক্তিগত বাংলা ব্লগের, আজ ইচ্ছেটা পূরন করেই ফেললাম।
ইচ্ছে আছে নিজের এই ব্লগ সাইট নিয়ে নিয়মিত হওয়ার।